স্বাস্থ্য

মাইগ্রেন মাথা ব্যথা এর কারণ লক্ষণ এবং মাইগ্রেন (মাথা ব্যাথা) থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

মাথা ব্যাথা কেন হয় এবং দূর করার উপায়-

আমাদের মাথা ব্যথাটা পরিচিত শব্দ । কমবেশি সবার হতে থাকে মাথা ব্যাথা । শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত সবার । মাথা ব্যাথার জন্য আমরা কাজ করতে পারি না । আবার অনেকের দেখা যায় মাথা ব্যাথাটা স্থায়ী হয়ে থাকে । কিভাবে কি করে মাথা ব্যাথা উঠে আমরা ও বলতে পারি না । তাহলে জেনে নিন কিভাবে মাথা ব্যাথা হয় কেন হয় লক্ষন কি ও প্রতিক

মাথা ব্যাথা করার কারণ –

আমাদের অনেকের প্রশ্ন মাথা ব্যাথা কি কারণে করে থাকে , কোন সমস্যার কারনে আমাদের মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে ।

দেখে নেন কি কি কারণে মাথা ব্যাথা হয় –

  • চুখের সমস্যা থাকলে বেশীর ভাগ মানুষের মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে ।
  • দ্বীর্ঘ সময় মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যাবহার করার কারণে  , চুখের সাখে সাখে মাথা ব্যাথার লক্ষন দেখা যায় ।
  • মানসিক চাপ সৃষ্টি হলে , দূরচিন্তা করলে ।
  • ঠিক মতো না ঘুমালে
  • নাক  , গলা , দাঁতের সমস্যার কারণে ও মাথা ব্যাথা হয়
  • মাইগ্রেন সমস্যার কারণে মাথা ব্যাথা হয় ।

মাইগ্রেন (মাথা ব্যাথা) কি ও তার লক্ষন –

মাইগ্রেন হলো – এক ধরনের মাথা ব্যাথা , যা দ্বীর্ঘ দিন স্থায়ী থাকে । একবার মাথা ব্যাথা হলে ১-২ ঘন্টা স্থায়ী থাকে ।  মাথার এক পাশে ব্যাথা করে , একপাশ থেকে অন্য পাশে ও যায় স্থানান্তর করে , এবং পরে পুরো মাথায় ছড়িয়ে যায়, গাড়ে ও ব্যাথা করে , চুখের পাশে ও ব্যাথা হয়,  মাথায় কম্পন সৃষ্টি হয়, চুখে আলো পড়লে ব্যাথা করে , বুমি বুমি ভাব হয়। শব্দ তাদের অসয্য লাগে , মাইগ্রেনে যারা আক্রান্ত হয় তাদের মেজাজটা খিটখিটে হয়ে যায় । এই লক্ষন গুলো আপনার মধ্যে দেখা গেলে মনে করবেন আপনার ও মাইগ্রেন হয়েছে ।

মাইগ্রেন হওয়ার কারণ –

এখনো পর্যন্ত কেউ জানতে পারে নাই মাইগ্রেন কেন হয় , তবে , ধারণা করা যায় যে বংশগত কারণে এতে আক্রান্ত হয়, এই সমস্যাটা ছেলেটা চেয়ে মেয়েদের বেশী হয় , মেয়েদের নিদিষ্টি সময়ে তৃপরতা বেড়ে যায় যেমন ঋতুস্রাব এর পূর্বে বা বন্ধ হয়ে যায়। যারা চা, কপি খাই , মোবাইলে সারাদিন কথা বলে,অতিরিক্তি ভ্রমন করে, ঠিক ভাবে না ঘুমাই তাদের এইটা বেশী হয় ।

যেসব খাবার  মাইগ্রেন প্রতিরোধ করে –

ম্যাগনেশিয়মসমৃদ্ধ খাবার,যেমন – চাঁটা চাউলের ভাত, আলু ও বার্লি. খেজুর , ‍ডুমুর , শাকসবজি নিয়মিত খেলে, ক্যালসিয়াম , ভিটামিট ডি ,যেমন – তিল, আটা ,বিট ইত্যাদি ও আদা , এখাবার গুলা নিয়মিত খেলে মাইগ্রেন প্রতিরোধ করে ।

মাইগ্রেন হলে দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে , ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঐষুধ খাইতে হবে । 

চিকিৎসা পাশাপশি কিছু নিয়ম 

আপনি যদি মাইগ্রেনে আক্রান্ত হন  , ডাক্তারের পরামর্শ করে ওষুধ খাইতেছেন যদি তার পাশাপশি কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলেন তাহলে দ্রুত মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পাবেন । যেমন –

  • প্রতিদিন নিদিষ্ট সময় ঘুমাতে হতে এবং সেটা হতে হবে পরিমিত  ।
  • অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ না করা ।
  • কড়া রোদ বা তীব্র ঠান্ডা পরিহার করতে হবে । 
  • উচ্চশব্দ পরিবেশে বেশীক্ষন না থাকা।
  • বেশী সময় ধরে ফোনে কথা না বলা এবং কম্পিউটার না ব্যবহার করা । 
  • মাইগ্রেন শুরু হয়ে গেলে প্রচুর পরিমানের পানি খাওয়া। 

চিকিৎসা ও নিয়ম কানুন মানলে খুবই তাড়াতাড়ি মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পাবেন । 

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button